অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় হোমস প্রদেশে সন্ত্রাসী জুলানি বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষের অপহরণ ও গুম হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। হোমস শহর থেকে গত প্রায় এক মাসে অন্তত ৯০০ ব্যক্তি গুম হয়েছেন।
প্রায় এক মাস আগে সিরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণকারী হায়াত তাহরির আশ-শাম বা এইচটিএসের সশস্ত্র ব্যক্তিরা সাবেক বাশার আল-আসাদ সরকারের অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র হোমস শহর থেকে গত ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে অন্তত ৯০০ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে জুলানি বাহিনী এবং তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আল-মায়াদিনের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানাচ্ছে, এমন সময় এসব মানুষকে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যখন জুলানি প্রশাসনের নির্দেশে সাবেক বাশার আল-আসাদ সরকারের সেনাবাহিনীতে কর্মরত সৈনিক ও কর্মকর্তারা তাদের অস্ত্রসস্ত্র জমা দিয়ে নিজেদের জন্য নতুন পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছিলেন। যাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগই এ ধরনের যুবক।
এদিকে হোমসের জনগণের সঙ্গে বিশেষ করে সেখানকার শিয়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে এইচটিএসের সশস্ত্র ব্যক্তিদের সহিংস আচরণের বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
রিপোর্ট বলা হয়েছে, এইচটিএসের সশস্ত্র ব্যক্তিরা সিরিয়ার সাধারণ জনগণের ওপর অত্যাচার করছে এবং তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করছে। তারা হোমসের মহল্লায় মহল্লায় হানা দিয়ে জোরপূর্বক মানুষের ঘরবাড়িতে প্রবেশ করছে এবং লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
সিরিয়ার কথিত মানবাধিকার গোষ্ঠী- সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, এইসটিএস বাহিনী হোমস থেকে অন্তত ৫০০ ব্যক্তিকে আটক করেছে যাদের মধ্যে কেউ কেউ সাবেক আসাদ সরকারের শাসনামলে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। অবজারভেটরি আরো বলেছে, এইচটিএসের সশস্ত্র ব্যক্তিরা গত কয়েকদিন ধরে হোমস শহরের সরকারি অফিস আদালতগুলোতে আলাভি চাকুরিজীবীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
জুলানির নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আশ-শামের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। এর ১১ দিনের মাথায় ৮ ডিসেম্বর তারা রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং প্রেসিডেন্ট আসাদ সিরিয়া ত্যাগ করেন।
Leave a Reply